Entertainment
জেনে নিন মিথ্যুক চেনের উপায় গুলো !
প্রকাশের তারিখ : জুলাই ২৩, ২০১৪
প্রিয়
ডেস্ক : আপনি কি সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করতে পারেন? যদি পারেন তাহলে তো
কথাই নেই। বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু সত্য আর মিথ্যার পার্থক্যটা করতে পারেনা।
আর পারেনা বলেই জীবনে বার বার প্রতারিত হয় মানুষ। মিথ্যা ধরতে হলে আপনার
‘লাই ডিটেকটর’ যন্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই। বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখেই আপনি
সনাক্ত করতে পারবেন মিথ্যা এবং মিথ্যুক কে। তাহলে জেনে নিন উপায় গুলো।
১) মিথ্যুক ব্যক্তি কখনই আপনার চোখের দিকে
তাকিয়ে মিথ্যা বলতে পারবে না। ডানে, বামে অথনা নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলবে
মিথ্যুক ব্যক্তি।
২) মিথ্যা কখনই এক রকম থাকে না। যতবার
আপনি বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করবেন ততবার সেটা পরিবর্তিত হয়ে যাবে। একেবার
একেকরকম ভাবে উপস্থাপিত হবে মিথ্যাটি।
৩) মিথ্যা বলার সময় মিথ্যাবাদি বেশিরভাগ
সময়েই কিছুটা ঘামে। মুখের হাসি কম থাকে, চোখের পাতা বারবার পড়ে, গলার স্বর
নেমে যায় ইত্যাদি আরো নানান রকমের পরিবর্তন দেখা যায়।
৪) সাধারণত মিথ্যা বলার সময় মিথ্যুকরা হাত কচলায়, মাথা চুলকায় কিংবা কিছুক্ষণ পরপর নাক চুলকাতে থাকে।
৫) সাধারণত মিথ্যুকরা মিথ্যা বলার সময়ে না
চাইতেই অনেক বেশি তথ্য দিতে থাকবে। মিথ্যাকে সত্য বানানোর জন্য অনেক
অপ্রয়োজনীয় তথ্য বলবে তারা যা আপনি জিজ্ঞেসও করেন নাই।
৬) মিথ্যাবাদিকে তার কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করলে খুব সহজেই ক্ষেপে যাবে সে।
৭) মিথ্যাবাদী তার কথার বিষয়বস্তু খুব
দ্রুত বদলে ফেলার চেষ্টা করে। কোনো রকমে মিথ্যাটা বলে দিয়েই কথা অন্যদিকে
ঘুরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে মিথ্যাবাদী।
৮) মিথ্যা বলার সময় মিথ্যাবাদীর মুখের মাংসপেশি শিথিল থাকবে না। ফলে মিথ্যাবাদীর মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ পড়বে।
৯) মিথ্যাবাদীরা কখনই ঘটনার গভীরে যেতে চায় না। ঘটনার গভীরের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা সব কথা এলোমেলো করে ফেলে।
১০) মিথ্যা বলার সময় সাধারণত মিথ্যাবাদী
ব্যক্তি আপনার থেকে একটু দূরে সরে যাবে। মিথ্যাবাদীরা চেষ্টা করে ফোনে অথবা
ম্যাসেজ লিখে মিথ্যা বলতে। কারণ এই পদ্ধতিতে সরাসরি কারো সম্মুখীন হতে
হয়না।
জেনে নিন ১০ সেকেন্ডে যেকোনো মনজয়ের সহজপাঠ
প্রকাশের তারিখ : জুলাই ২৫, ২০১৪
নিউজ
ডেস্ক: এই মুহূর্তে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিঁড়ির ধাপ দ্রুতবেগে
টপকে যাচ্ছেন এলিভেটরে চড়ে। আর মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই এলিভেটরটিকে
সঠিক স্থানে থামতে হবে। ভাল লাগুক বা নাই লাগুক, অর্থ বা হতাশা যাই আসুক,
এমন পরিস্থিতি জীবনের যেকোনো মুহূর্তে সামনে আসতে পারে। আর সেই সময়ের ওই
১০ সেকেন্ডের মধ্যে অবশ্যই যথাস্থানে পৌঁছতে হবে আপনাকে এবং দায়িত্ব আপনার
কাঁধেই বর্তাবে।
যেকোন কাজ আদায়ের জন্য যেকোন মানুষকে চোখের পলকে প্ররোচিত করা বা পটিয়ে ফেলা এতো সহজ কাজ নয়। আবার অসম্ভবও নয়। এখান যেকোন মানুষকে যেকোন কাজের জন্য মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রাজি করিয়ে ফেলার কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ। এগুলো দেখে নিন।
যেকোন কাজ আদায়ের জন্য যেকোন মানুষকে চোখের পলকে প্ররোচিত করা বা পটিয়ে ফেলা এতো সহজ কাজ নয়। আবার অসম্ভবও নয়। এখান যেকোন মানুষকে যেকোন কাজের জন্য মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রাজি করিয়ে ফেলার কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ। এগুলো দেখে নিন।
১. আপনি কে? মানুষ
তাদেরকে খোঁজে যারা সৎ, বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য। আর এমন একজনকে
খোঁজেন যাকে দেখলেই ভাল লাগে। রিজ্যুমি দেখে আপনার প্রেমে পড়বে না
প্রতিষ্ঠান। বরং বাহ্যিক উপস্থিতি, আচরণ, কাজ এবং কথা-বার্তায় আপনাকে
পছন্দ করবেন সবাই। এসব ভাল লাগার নিশানা দেখে আপনার মুখ খোলার আগেই বেছে
নিতে পারেন আপনাকে। আচরণ, কথা-বার্তা এবং নার্ভ সিস্টেমের মধ্য সমন্বয় না
করতে পারলে ব্যর্থ হবেন আপনি। এসবের সমন্বয়ের মাধ্যমেই সর্বোচ্চ
আন্তরিকতার মাধ্যমে যেকোন মানুষকে আয়ত্তে আনতে পারেন মাত্র ১০ সেকেন্ডের
মধ্যেই।
২. রিল্যাক্স: চিন্তা
করে করে দেখুন, আপনি উত্তেজিত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকা অবস্থায় কীভাবে
শ্বাস-প্রশ্বাস নেন। এমন পরিস্থিতিতে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন বুক ভরে। তারপর
ধীরে ধীরে ছাড়ুন। ঠিক দশ সেকেন্ড পর আবারও এমনভাবে নিঃশ্বাস নিন।
মুহূর্তে ধীর স্থির হয়ে যেতে পারবেন আপনি। এর মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ফিরে
আসে। এই অবস্থায় অনেক কঠিন কাজও আপনি খুব সহজে করে ফেলতে পারবেন। এমনকি
মাত্র ১০ সেকেন্ডে যেকোন মানুষকে বশও করতে পারবেনষ
৩. আনন্দ প্রকাশ : নিজের
মনেই ইত্যাদি শব্দে মনের আনন্দ প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু অন্য মানুষ এসব
শব্দ শুনে আপনাকে নির্বোধ বলে মনে করতে পারে। ভালো শ্রোতা হোন। কেউ কিছু
বলার সময় কথা বলবেন না। কেউ বলা শেষ করার পরও দুই সেকেন্ড চুপ থাকুন,
তাদের শেষ নাও হয়ে থাকতে পারে। এরপর বলা শুরু করুন। বক্তা অবচেতনভাবে
বুঝতে পারে কে তার কথা শুনছে না। আর খারাপ শ্রোতাদের প্রতি তাদের মনোভাবনা
হয়েই থাকে।
৪. মনোভাবের পরিষ্কার প্রকাশ :
সব ক্ষেত্রে অন্যকে আয়ত্তে আনারও প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে নিজের
বক্তব্যকে একত্রীভূত করে প্রকাশ করা প্রয়োজন। যাবতীয় বক্তব্য একটি বা
দুটি বাক্যে পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করার মাধ্যমে অন্যের কাছ থেকে সম্মতিসূচক
জবাব পেতে বেশি বেগ পেতে হবে না। তবে এমন বক্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে
কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন। যেমন- সমস্যা যতো দ্রুত সম্ভব সমাধানের
তাগাদা থাকতে হবে৷আপনার দেওয়া সমাধান অদ্বিতীয় এবং এর বিকল্প নেই। আপনার
সমাধান বিক্রির জন্য নয়। বক্তব্যের পর একজনের কাছ থেকে হলেও হ্যাঁ; শব্দটি
আদায় করতে হবে।প্রশ্নাতীতভাবে আপনার সমাধান প্রমাণিত বলে গণ্য হতে হবে।
৫. ইচ্ছাপূরণ : অনেকে
বলেন, অন্যের মত আদায়ের জন্য আপনাকে তাদের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে হবে।
প্রাথমিক অবস্থায় মানুষ সাধারণত স্বার্থহীনভাবেই সবকিছু চিন্তা করেন।
আপনার বক্তব্যের মাঝে কেউ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় মাথায় আনার আগেই তার
ইতিবাচক মতামত বাগিয়ে নিতে হবে আপনার। তবুও তাদের এসব চাহিদা মাথায় রেখে
বক্তব্য সাজাতে পারেন যেখানে জরুরি ভিত্তিতে তাদের চাহিদা পূরণের আভাস
থাকতে পারে। আর এর ফলেই আপনার প্রতি তাদের জবাব হ্যাঁ-সূচকই হবে। তাদের
চাহিদায় থাকতে পারে-স্বীকৃতি, পুররুজ্জীবন, বিনোদন, নিবৃত্তি, ধর্ম,
পারিশ্রমিক, ফলাফল, প্রতিশোধ এবং প্রেম।
৬. আপত্তি : প্রত্যেক
মানুষেরই অভিযোগ-অনুযোগ থাকবে। বিশাল ক্ষমতায় অবস্থান করে বিশাল
দায়িত্বশীলতা। অধিকাংশ মানুষের প্ররোচিত করার ক্ষমতা থাকে না। এ গুণ অর্জন
করতে হলে অনেক চর্চা ও পরিশ্রম দরকার। তবে এটা শুধু বশ করার বিষয় নয়,
এটি যোগাযোগের বিষয়। স্রেফ দুটো মানুষের মধ্যে আন্তযোগাযোগ যাদের মধ্যে
দৈহিক ও মানসিক দূরত্ব রয়েছে। এটা অর্থের কোনো বিষয় নয়, এটা দুটো
মানুষের চিন্তা-ভাবনার মিলের বিষয়।
Subscribe to:
Posts
(
Atom
)